সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাতিল হচ্ছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা?! মূল্যায়ন কিভাবে হবে ? জানুন ..

EduVision Study Point
বাতিল হচ্ছে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা?! মূল্যায়ন কীভাবে?! জানুন ...

রাজ্যে এ বছর স্কুলে বসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্ভবত হচ্ছে না। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ করা বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাবিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে রাজ্যের ১০ হাজার মাধ্যমিক ও ৭ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়াদের সশরীরে পরীক্ষার আয়োজন এখন সম্ভব নয়।

তা হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে কী ভাবে? সূত্রের খবর, ছ'সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে হোম অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পরীক্ষা হতে পারে। অর্থাৎ বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র স্কুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের বাড়িতে পাঠিয়ে, তার ভিত্তিতে লেখা উত্তর আবার স্কুলেই জমা করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত ফলপ্রকাশ সম্ভব। কারণ, স্কুলের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই তার মূল্যায়ন করবেন। অথবা ইতিমধ্যে ল্যাবভিত্তিক বিষয়ে যে ৩০ নম্বর ও নন-ল্যাবভিত্তিক বিষয়গুলিতে ২০ নম্বরের প্রজেক্টে পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর স্কুলের মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে জমা পড়েছে, প্রয়োজনে রেজাল্ট তৈরির ক্ষেত্রে সেগুলোও বিবেচনা করা যেতে পারে। সবটাই অবশ্য নির্ভর করছে, রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত সম্মতির উপর।

মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কী হবে? মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ২০১৯ সালের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট বিবেচনা করে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির মত। অথবা নবমের প্রথম সামেটিভ, ষাণ্মাসিক এবং বার্ষিক পরীক্ষার গড় করে ৫০ শতাংশ ওয়েটেজ আর এ বছর মাধ্যমিকের প্রজেক্টে বরাদ্দ ১০ নম্বরকে ভিত্তি করে পড়ুয়াদের যে নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার উপরে ৫০ শতাংশ ওয়েটেজ দিয়ে একযোগে রেজাল্ট তৈরি করা যেতে পারে। তবে সবই চূড়ান্ত সম্মতির জন্য প্রস্তাবিত রিপোর্টে পেশ করা খসড়া মাত্র।

সরাসরি স্কুলে এসে পরীক্ষায় সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্নে পড়ুয়াদের পক্ষে একাধিক পয়েন্ট উঠে এসেছে। প্রথমত, করোনা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে সিবিএসই এবং সিআইএসসিই দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে। তারা বাড়ি বসে গত এক বছরে অনলাইনে স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমেই পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পথে হাঁটতে চলেছে। একই পথ ধরে দেশের আরও সাতটি রাজ্য দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে। ফলে বহু রাজ্যেই মাসের পর মাস ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাদেরও হাতের পাঁচ বলতে সেই স্কুলের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া।

পরীক্ষায় কী ভাবে নম্বর বরাদ্দ হবে, বদলাবে কাঠামো?

দ্বিতীয়ত, সুপ্রিম কোর্ট সিবিএসই এবং সিআইএসসিই-র বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে। ফলে দেশের কোনও রাজ্য বোর্ড সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে এসে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নিলে সেই পরিস্থিতিতে একজনও পড়ুয়া সংক্রামিত হলে, গোটা বিষয়টি জটিল আকার নিতে পারে। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।

তৃতীয়ত, করোনা অতিমারীর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশ বা বিশ্বজুড়ে যে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে, তাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বড় অংশই ১৮ বছরের কম বয়সি হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে তাদের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। এই সব পরিস্থিতি বিচার করেই রাজ্য সরকারের স্কুলশিক্ষা দপ্তর নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আপাতত ক্যাম্পাসে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণে আপত্তি জানিয়েছে বলে খবর।

এদিকে, সিবিএসই-সিআইএসসিই দশম ও দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করায় সর্বোচ্চ আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দুই জাতীয় বোর্ডের লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার মূ্ল্যায়ন কী ভাবে করা হবে, সে বিষয়েও কোর্ট জানতে চেয়েছিল। আইএসসি-র তরফে চার সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দু'সপ্তাহের মধ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি জানাতে বলেছে। তার প্রেক্ষিতে সিবিএসই শুক্রবার দশ সদস্যের মূল্যায়ন কমিটি গঠন করেছে। তাদের দশদিনের মধ্যেই বোর্ডকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সে দিকেও নজর থাকবে এ রাজ্যের কমিটির অন্তর্গত পর্ষদ ও সংসদ কর্তাদের।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মামলাবাজ-জোনাথন লি রিচেস

EduVision Study Point https://t.me/EduvisionStudyPoint পৃথিবীতে সুষ্ঠতার মানদন্ডের জন্যই মামলা ব্যবস্থার প্রচলন৷ কিন্তু এই মামলা করে যদিও সকল কিছু সুষ্ঠু করা যায় না৷ চারদিকে কতশত অবিচার, অন্যায়৷ সবিই কি মামলা করে ঠেকানো যায়? তবে হ্যা, ঠেকানো না গেলেও হয়ত কারো কারো আত্মতৃপ্তি আসে যে, কারো কাছে তো বিচার দিয়েছি!   পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মামলাবাজ-জোনাথন লি রিচেস বলছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে মামলাবাজ ব্যাক্তির কথা! ১৯৭৬ সালে জন্ম নেয়া জোনাথন লি রিচেস ইন্টারনেট এ মার্কিন কয়েদি বা ফেডারেল বন্দী হিসেবে পরিচিত হলেও, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কাছে তিনি সবচেয়ে বড় মামলাবাজ বলে খ্যাত!  তার মামলার শুরুটা ১০ বছর বয়সে, তার মার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন৷ অভিযোগ ছিলো তার মা অন্য মায়েদের মতো তাকে যত্ন করে না৷ তারপর ২০০৬ থেকে এ পর্যন্ত তিনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে আড়াইহাজারেরও বেশি মামলা করেছেন।   ৮ ই জানুয়ারী, ২০০৬ সাল থেকে তিনি সারাদেশে ফেডারেল জেলা আদালতে ২৬০০ টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।  তাঁর মামলা মোকদ্দমার সর্বাধিক বিখ্যাত...

বিষয় : অনুপাত ও সমানুপাত সপ্তম শ্রেণী , কষে দেখি : 2.1

https://m.facebook.com/groups/239170504649069/permalink/241152251117561/ বিষয় : অনুপাত ও সমানুপাত  সপ্তম শ্রেণী , কষে দেখি : 2.1  

দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান,মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ৮

E-mail Us   Join Teligram FACEBOOK PAGE