EduVision Study Point
ধরা যাক, আপনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানের অধ্যাপক। আপনি অনেক খেটে একটা বই লিখলেন। বিজ্ঞানের বই। নাম দিলেন হিন্দুদের বিজ্ঞান। কি হবে। চারিদিকে ছি ছি পড়ে যাবে। সুশীল সমাজ রে রে করে তেড়ে উঠবে। আপনার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা ভংগের মামলাও হতে পারে।
অথচ সেই তিনি সেটাই করেছিলেন। ১২ বছর পরিশ্রম করে থান ইঁটের মতো দুটো বই লিখলেন। নাম HISTORY OF HINDU CHEMISTRY. সারা বিশ্বে সমাদৃত।দেখালেন হিন্দু মানে কুসংস্কার নয় হিন্দু মানে বিজ্ঞান। অথচ ঘটনা আজ থেকে ১১৯ বছর আগের।
সেই তিনি, বেদ ও শংকরাচার্যের মায়াবাদের সমালোচক। কিন্তু বিজ্ঞানে হিন্দুদের অবদান নিয়ে দু দুটো বই লিখতে
তিনিই দিনরাত এক করে দেন।
সেই তিনিই১০০ বছর আগে বলেন বি এ পাশ করে এম এ পড়া আর দুবছর ব্যবসা করা দুটোই সমান হওয়া উচিত। দুটোতেই বুদ্ধি লাগে। সেই তিনি বিজ্ঞানী। আবার সফল ব্যবসায়ী।
তিনি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ভারতের আধুনিক বিজ্ঞানের জনক। আজ তার মৃত্যুদিন। ১৬ জুন।
তিনি হেরে গেছেন। বাঙালি জামাইদের কাছে হেরে গেলেন একজন শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী। বাঙালি জাতটাকে সোজা করে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন তিনি।
কেউ মনে রাখেনি। আসলে বাঙালি সংস্কৃতি মানে নপুংসকের ব্রহ্মচর্য, বা ভিখারির সন্ন্যাস। শুধুই ঘা চুলকে তৃপ্তি। বাঙালি মননের এই অধঃপতন আটকাবে কে?
প্রফুল্লচন্দ্র পারেন নি। তবুও আজকের দিনে তাঁকে স্মরন। প্রনাম।
আমরা কিন্তু সেই সনাতন ভাবনাতেই বিশ্বাসী।
#আমরা চাই সনাতন বাংলা।

মন্তব্যসমূহ