সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সরল সুদকষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সূত্রাবলী

 

সরল সুদকষা (Simple Interest)


(I) আসল বা মূলধন (Principal): যত টাকা ধার নেওয়া বা দেওয়া অথবা যত টাকা গচ্ছিত রাখা হয় ।


(II) সময় ( Time ): যত সময়ের জন্য ধার নেওয়া বা দেওয়া অথবা যত টাকা গচ্ছিত রাখা হয় ।


(III) সুদ (Interest): যে ব্যক্তি বা সংগঠন টাকা ধার দেন তাকে উত্তমর্ণ (Creditor) এবং যে ব্যক্তি বা সংগঠন টাকা ধার করেন তাকে অধমর্ণ (Debtor)বলা হয় । উত্তমর্ণের অর্থ সাময়িক ব্যবহার করার অধিকারের বদলে শর্ত অনুযায়ী অধমর্ণ কিছু অতিরিক্ত অর্থমূল্য তাকে দিয়ে থাকেন। এই অর্থমূল্যই সুদ (Interest)।


(IV) সুদের হার (Rate of Interest) : সুদ সাধারনত বছরের হিসাবে কষা হয়ে থাকে , যেমন সুদের বার্ষিক হার 10% এর অর্থ হল , 100 টাকার 1 বছরের সুদ 10 টাকা । কোনো কোনো ক্ষেত্রে ষান্মাসিক , মাসিক , এমনকি দৈনিক হিসাবেও সুদ কষা হয় ।


(V) মোট সুদ ( Total Interest ) : নির্দিষ্ট আসলের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেও বা প্রাপ্য সুদ ।


(VI) সুদ-আসল বা সবৃদ্ধিমূল ( Amount ) : আসল + মোট সুদ ( Principal + total Interest )


(VII) অধমর্ণ ( Debtor ) কোনো ব্যক্তি যদি ব্যাঙ্ক বা সমবায় সমিতি থেকে টাকা ধার করেন তখন ওই ব্যক্তি বলে  অধমর্ণ।


(VIII) উত্তমর্ণ ( Creditor ) : ব্যাঙ্ক বা সমবায় সমিতি যে টাকা ধার দেয় তাকে বলে  উত্তমর্ণ। 



 সুদ-কষা সম্পর্কিত বিষয়গুলির পারস্পরিক সম্পর্ক

 🚩 সুদের হার ও সময় অপরিবর্তিত থাকলে  

 আসল ও মোট সুদের মধ্যে সরল সম্পর্ক অর্থাৎ আসল বাড়লে মোট সুদ বাড়বে , আসল কমলে মোট সুদ কমবে ।

 🚩  আসল ও সময় অপরিবর্তিত থাকলে :

   সুদের হার ও মোট সুদের মধ্যে সরল সম্পর্ক অর্থাৎ সুদের হার বাড়লে মোট সুদ বাড়বে , সুদের হার কমলে মোট  সুদ   কমবে ।

 🚩  আসল ও সুদের হার অপরিবর্তিত থাকলে :

    সময় ও মোট সুদের মধ্যে সরল সম্পর্ক অর্থাৎ সময় বাড়লে মোট সুদ বাড়বে , সময় কমলে মোট সুদ কমবে ।

 🚩 সুদের হার ও মোট সুদ অপরিবর্তিত থাকলে :

  আসল ও সময়ের মধ্যে ব্যস্ত সম্পর্ক অর্থাৎ আসল বাড়লে ঐ মোট সুদ পেতে সময় কম লাগবে , আসল কমলে সময় বেশি লাগবে ।

 🚩  আসল ও মোট সুদ অপরিবর্তিত থাকলে :

      সুদের হার ও সময়ের মধ্যে ব্যস্ত সম্পর্ক অর্থাৎ সুদের হার বাড়লে ঐ মোট সুদ পেতে সময় কম লাগবে , সুদের হার  কমলে সময় বেশি লাগবে ।

 🚩  সময় ও মোট সুদ অপরিবর্তিত থাকলে :

    আসল ও সুদের হারের মধ্যে ব্যস্ত সম্পর্ক অর্থাৎ আসল বাড়লে সুদের হার কমবে , আসল কমলে সুদের হার বাড়বে ।

সরল সুদ নির্ণয়ের সাধারণ সুত্র :-

যদি, P = আসল, t = বছরের সংখ্যা ,  r = শতকরা বার্ষিক সুদের হার এবং I = t বছরের সুদ হয়, তবে  I= prt/100

       100 টাকার 1 বছরের সুদ = r টাকা

         1 টাকার  1 বছরের সুদ = r/100 টাকা

         P টাকার  1 বছরের সুদ = Pr/100 টাকা

         P টাকার  t  বছরের সুদ = Prt/100 টাকা

            সুদ = (আসল x সময় x সুদের হার) ÷ 100

এই সুত্র এবং আসল, সুদ ও সবৃদ্ধিমূলের মধ্যে সম্পর্ক থেকে দেখা যাচ্ছে যে, মূলধন, বছর, সুদের হার ও সুদ বা সবৃদ্ধিমূল এই চারটি রাশির যেকোন তিনটি দেওয়া থাকলে চতুর্থটি সহজেই পাওয়া যায় ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মামলাবাজ-জোনাথন লি রিচেস

EduVision Study Point https://t.me/EduvisionStudyPoint পৃথিবীতে সুষ্ঠতার মানদন্ডের জন্যই মামলা ব্যবস্থার প্রচলন৷ কিন্তু এই মামলা করে যদিও সকল কিছু সুষ্ঠু করা যায় না৷ চারদিকে কতশত অবিচার, অন্যায়৷ সবিই কি মামলা করে ঠেকানো যায়? তবে হ্যা, ঠেকানো না গেলেও হয়ত কারো কারো আত্মতৃপ্তি আসে যে, কারো কাছে তো বিচার দিয়েছি!   পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মামলাবাজ-জোনাথন লি রিচেস বলছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে মামলাবাজ ব্যাক্তির কথা! ১৯৭৬ সালে জন্ম নেয়া জোনাথন লি রিচেস ইন্টারনেট এ মার্কিন কয়েদি বা ফেডারেল বন্দী হিসেবে পরিচিত হলেও, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কাছে তিনি সবচেয়ে বড় মামলাবাজ বলে খ্যাত!  তার মামলার শুরুটা ১০ বছর বয়সে, তার মার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন৷ অভিযোগ ছিলো তার মা অন্য মায়েদের মতো তাকে যত্ন করে না৷ তারপর ২০০৬ থেকে এ পর্যন্ত তিনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে আড়াইহাজারেরও বেশি মামলা করেছেন।   ৮ ই জানুয়ারী, ২০০৬ সাল থেকে তিনি সারাদেশে ফেডারেল জেলা আদালতে ২৬০০ টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।  তাঁর মামলা মোকদ্দমার সর্বাধিক বিখ্যাত...

বিষয় : অনুপাত ও সমানুপাত সপ্তম শ্রেণী , কষে দেখি : 2.1

https://m.facebook.com/groups/239170504649069/permalink/241152251117561/ বিষয় : অনুপাত ও সমানুপাত  সপ্তম শ্রেণী , কষে দেখি : 2.1  

দশম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞান,মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ৮

E-mail Us   Join Teligram FACEBOOK PAGE