EduVision Study Point 🔰 Welcome Our Facebook Page : https://www.facebook.com/MATHEduVision/ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাঁপানি ছিল। শীতকালে বাড়ত। তাই শীতে দু’বেলা গরম চা খেতেন। এক দিন চা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাঁপের টান একদম কমে গেল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অবাক! গৃহভৃত্যকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘আজ চায়ে কি আদার রস মিশিয়েছিলে?’’ ভৃত্য না বললেন এবং স্বীকার করলেন যে, তাড়াহুড়োয় আজ কেটলি না-ধুয়েই চা করে ফেলেছিলেন। বিদ্যাসাগর তাঁকে কেটলি আনতে বললেন। আনার পর কেটলির ভিতর পরীক্ষা করে তিনি স্তম্ভিত হলেন! অবশিষ্ট চায়ে দু’টো আরশোলা পড়ে রয়েছে। মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। আরশোলা বেশি জলে সেদ্ধ করার পর, তাকে অ্যালকোহলে ফেলে ছেঁকে ডাইলিউট করে হোমিয়োপ্যাথির মতে ওষুধ বানিয়ে নিজে ও অন্যদের দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে কেমন হয়, তাতে হাঁপানি, সর্দি সারে কি না! লোককে না জানালেই হল ওষুধে কী আছে। ভাবনাকে কাজে পরিণত করতে দেরি করেননি। জানা যায়, সেই ওষুধে অনেকের রোগের উপশম করেছিলেন বিদ্যাসাগর! সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম তো সবাই জানে, কিন্তু হাঁপানির ওষুধ Blatta orientalis এর আবিষ্কারকর্তা ...